কোজাগরি লক্ষী পূজো
শরৎ কালে যখন কাশ ফুল উঠে দুলে।
মৃদুমন্দ বাতাস বহে ধীরে ধীরে।
নীলাকাশে পেঁজা তুলোর- মতো মেঘ যায় উড়ে চলে।
উমা দেবী পুত্র কন্যা নিয়ে আসে -মর্ত্যের প্রতি ভক্তের মনের দুয়ারে।
ভক্তের পূজা গ্রহণ করে -
মা ফিরে যান কৈলাসে -
নিজ পতির ঘরে।
উমা মায়ের যাওয়ার পরে-
যে পূর্ণিমা টি আসে- আমাদের সনাতনী হিন্দু -
ক্যালেন্ডারে।
সে পূর্ণিমা টি তে আমরা- সবাই কেনো না তাহা -
কোজাগড়ি পূর্ণিমা বলে।
এই পূর্ণিমায় উমা কন্যা -
বিষ্ণু ঘরণী আসে মর্ত্যের -
প্রতি ভক্ত সনাতনী র দুয়ারে।
যশ , অর্থ আর সম্পদ নিয়ে -
তিনিই তো ত্রি গুণাত্মিকা -
মা লক্ষ্মী।
তিনিই আসেন বাহন পেঁচা -
কে নিয়ে শ্রীহীন প্রতি-
ভক্তের ঘরে।
ধন - সম্পদ বিলিয়ে দিতে দু- হাত উজাড় করে।
একটি নিশী থেকেই মা- বলেন যারাই আজ ভক্তি-
ভক্তি ভরে রবেই জেগে-
তারাই শুধু ধন -সম্পদ -
দুহাত ভরে আমার কাছে- পাবে।
কোজাগরী নিশী শেষে -
ভক্ত যখন বলবে দুঃখে -
মা তুমি যেওনা -
আমাদের ছেড়ে।
মা হেসে কয় দুঃখ -
করিস কেনো আমি তো -
আসবো আবার সাড়ম্বরে -
আগামী কোজাগরী এলে।
তা ছাড়া আমি তো থাকবো -
প্রতি বৃহ্পতিবার-
তোমাদের পূজার ঘরে।