প্রবাহমান
দিন শুরু হয় নরম আলোর বর্ণ চ্ছ টা য়।
দিন বাড়ে ধীরে ধীরে আলোর উজ্জ্বলতা প্রখর হয়।
দিনের শুরুর নরম আলোর মতো শৈশব ছিলো কত মধুর,
আর অগোছালো চাপ কিছু তেই ছিল না।
শুধু পড়া আর পড়া ছোট কালে কত ধরনের খেলা,
কাদা মাখা মাখি, চোর পুলিশ,
কখনও আবার শ্রী হীন ধুলো মাখা দেহ ফুটবল বা ক্রিকেট মাঠে।
তারপর ধীরে ধীরে স্মশ্রু বাড়ে মসৃণ গালে।
দিনের প্রখরতা র সাথে সাথে যৌবনের অগ্রগতি হয় ধীরেধীরে।
অগোছালো জীবনে শৃঙ্খ লতা নেমে আসে,
দায়িত্ব বাড়ে অনেক বেশি করে,
তখনও মনে হয়নি সময়ের সাথে সাথে আমি ও যাচ্ছি ফুরিয়ে।
বিয়ে, সংসার ও দাম্পত্যে জড়িয়ে পড়ি ধীরে ধীরে,।
দুপুরের সূর্য হেলে পড়ার সাথে সাথে আমার ও যৌবনের ভাটা আসে।
মসৃণ ত্বক কুঞ্চিত হয় কৃষ্ণ ঘন চুল কাশ ফুলের মতো সাদা হতে রয়।
চোখের দৃষ্টি আসে কমে ঝাপসা দৃষ্টি হতে বাঁচতে চোখে চশমা আসে নেমে।
অপরাহ্নের তেজহীন সৌর রশ্মির মতো যৌবনের উদ্দামতা বিলীন হতে রয়।
শরীরে ক্ষমতা কমে আসে নানা অসুখ শরীর কে গিলে খেতে চায়।
মেয়ের বিয়ে, ছেলের প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে
শরীরে সুগার, প্রেসার, কোলো স্টেরোল, গ্যাস,
হজম ও বাতের সমস্যা নিয়ে বিরক্ত হতে হয়।
অসমর্থ শরীরে লাঠি হাতে নিয়ে কচি কাঁচাদের খেলার মাঠে
গেলে সাময়িক মনটা ভালো হলে ও ছেড়ে যাওয়া অতীত
আর বুড়িয়ে যাওয়া সময় কে নিয়ে মনে বিষন্নতা গ্রাস করতে থাকে।
তাই খেলার মাঠ ছেড়ে সম বয়সী বন্ধুদের সাথে দেখা করতে পার্কের কাছে গেলে
তারা ও দেখি জীবন ফুরিয়ে যাওয়ার গল্প করছে।
ম্লান লাল অস্তমিত সূর্য ধীরেধীরে ডুবতে থাকে পর্বতের গুহা কিংবা সাগরের অতলে।
আর আমাদের বার্তা দিতে থাকে সময় ও ফুরিয়ে আসছে তোমাদের।
যাওয়ার সময় আসছে মাটির ভিতরে লীন হওয়ার কিংবা
ধূম্র কুন্ড লীর মতো পাকিয়ে ভেসে যেতে হবে ঐ নীলাকাশে।
এটাই প্রবাহ মানতার নিয়ম,
মন খারাপ করে কী হবে তাতে।